গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর রমনা পার্কের রমনার বটমূলে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, রমনা লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিকরণ, মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে ১ হাজার ৪০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণসহ ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আশা করি, গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে যে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে, জনগণ সেদিকে একটু বিশেষভাবে মনোযোগ দেবে।’ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য, ২০৪১ সালের মধ্যে “স্মার্ট বাংলাদেশ” আমরা গড়ে তুলব। আমরা ই-গভর্ন্যান্স চালু করব, স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা—প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার নিশ্চিত করব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আর তারা এটা করেছে শুধু এ কারণেই যে আমরা দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।’ তিনি বলেন, দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এটা করা সম্ভব হয়েছে দেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ক্ষমতায় আছে বলে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মেলাতে সক্ষম দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে তাঁর সরকার ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাঁদের মৌলিক চাহিদাগুলো যাতে পূরণ হয়, তার নিশ্চয়তা রেখেই সরকার প্রকল্প গ্রহণ ও তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
এ সময় করোনা–পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানির ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডে প্রায় দেড় শ ভাগ বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। এমন অবস্থা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। কাজেই এখানেও আমি সবাইকে অনুরোধ করব, বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সবাই আবার একটু সাশ্রয়ী হবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যিনি সেনাপ্রধান হলেন, তিনিই একদিন নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিলেন। এই ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, অনির্বাচিত লোক দিয়ে কখনো দেশের উন্নতি হয় না, এটা প্রমাণিত সত্য।