ওসমান হারুনী :
জামালপুরের ইসলামপুর পৌর শহরসহ মহাসড়ক, হাসপাতাল সংলগ্ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকা এবং ফসলী জমিতে গড়ে উঠেছে ৮/৯টি ইট ভাটা। সরকারি নিতিমালার তোয়াক্কা না করেই দেদারছে চলছে এই এসব ভাটা। জনবসতী, ফসলি জমি ও পাকা সড়কে পাঁশেই যত্রতত্র গড়ে উঠা ইট ভাটা এখন যেন, পথচারী ও কৃষকের গলায় কাঁটা।
জানা গেছে, ইসলামপুর সীমানা মেলান্দহ দুরমুটের বীর হাতিজা মেসার্স জেকি বিক্স-১, ইসলামপুর দক্ষিণ দরিয়াবাদ জেকি ব্রিক্স-২, পাঁচ বাড়িয়া রোড, রৌহার কান্দা, গংগাপাড়া, ঢেংগারগড়, বলিয়াদহ ও মুখশিমলা জনবসতী এলাকা, ফসলী জমিতে ইট ভাটাগুলো রয়েছে। অবৈধভাবে গড়ে উঠা ভাটাগুলোর মধ্যে সরকারি নিতিমালার কোন তোয়াক্কা করা হচ্ছেনা। ইট তৈরির উপকরণ হিসাবে উত্তোলণ করা হচ্ছে ফসলি জমি টপসয়েল। অবৈধ গাড়ি ও অপরিপক্ক চালক দিয়ে এসব মাটি বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভাটায়।
আর বহনকৃত এই মাটি রাস্তায় পরে সৃষ্টি হচ্ছে ধূলা। এসব অবৈধ ভাটা চলমান থাকায়, সরকারের রাজস¦ ফাঁকির পাঁশাপাশিঁ একদিকে হারাচ্ছে ফসলের ফলন অন্যদিকে পথচারিদের চলাচলে পরতে হচ্ছে বিপাকে। দক্ষিন দরিয়াবাদ এলাকার ভোক্তভোগী খোরশেদ আলমসহ অন্যান্য ইটভাটা এলাকার সচেতন লোকজন
এ ব্যাপারে জামালপুর জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি কামনা করে অবৈধভাটার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এ.এল.এম রেজুয়ান জানান, কৃষি অফিসের পত্যায়নপত্র না নিয়েই চলমান ইট ভাটাগুলোর কৃষি জমির উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (চলতিদায়িত্ব) রোকনুজ্জামান খান জানান, অবৈধ ইট ভাটা বিরুদ্ধে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
//এমটিকে