বিভিন্ন কারণে অবৈধ হওয়া প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে কুয়েত সরকার। দেশটির সরকারের ঘোষিত বৈধকরণের এই সাধারণ ক্ষমার কার্যক্রম ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে, আর তা চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এমন সুযোগকে কাজে লাগাতে সেখানে অবস্থানরত অবৈধ বাংলাদেশিদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সুবিধাটি নিতে যাদের পাসপোর্ট হারানো বা মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার মত বাধা রয়েছে, তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করবে দূতাবাস। এমনকি দেশে আটকা পড়া কুয়েতি প্রবাসীদেরও ফিরিয়ে নিতে সকল ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
কুয়েত সরকারের ঘোষণা অনুযায়ি, নির্ধারিত শর্ত সাপেক্ষে ১ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে অবৈধ প্রবাসীরা পাবে বৈধ হওয়ার এই সুযোগ। এর আওতায় অবৈধরা নির্দিষ্ট জরিমানা দিয়ে আকামা গ্রহণ কিংবা দেশে ফেরত আসতে পারবেন। বিভিন্ন হিসাবে জানা যায়, কুয়েতে বর্তমানে নানা পেশায় কাজ করছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ বাংলাদেশি।
এদিকে বৈধকরণে বিষয়ে সবশেষ খবর জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস। এসময় বাংলদেশের রাষ্ট্রদূত জানান, অবৈধ বাংলাদেশি যাদের পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে, তারাও যদি বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে ন্যূনতম প্রমাণ দেখাতে পারেন, তাহলে তাদের নতুন পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করা হবে।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান জানান, কুয়েত সরকার বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় দুই ধরনের ব্যবস্থা রেখেছে। কেউ চাইলে নির্ধারিত জরিমানা দিয়ে কুয়েতে থেকে যেতে পারবেন। আর যারা জরিমানা দিয়ে দেশে ফিরে যেতে চান, তাদের ভবিষ্যতে কুয়েতে আসার সুযোগ রাখছে তারা।
সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত জানান, দেশে আটকা পড়া প্রবাসীরা যাতে শিগগিরই কুয়েত ফিরতে পারেন, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে কুয়েত সরকার গৃহকর্মীদের ফেরার সুযোগ দিয়েছেন বলেও জানানো হয়। এছাড়াও রাষ্ট্রদূত জানান, ইয়েমেনের সানায় হাউথি বিদ্রোহীদের হাত থেকে ৯ মাস পর উদ্ধার হওয়া ৫ বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক অভিবাসান সংস্থার হেফাজতে আছেন।