মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ :
গাইবান্ধায় জাতীয় পরিচয় পত্রে (এনআইডি) ভুয়া স্বামীর পরিচয় দিয়ে ডিজিটাল সিস্টেমে অনাধিকার প্রবেশ পূর্বক ভীতি ও হুমকি প্রদান করে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে রংপুর সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা করেছেন প্রতারণার শিকার গাইবান্ধা সদরের উপজেলার ভাজনের খামার গ্রামের মৃত আবুল মুনছুর সরকার ওরফে মানি মাষ্টারের পুত্র মাসুদার রহমান সরকার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা শহরস্থ দক্ষিন ধানঘড়ার বাসিন্দা আব্দুল হালিম সরকারের কন্যা লাবনী আক্তার মাসুদার রহমানের খালাতো বোন। সদরের বাদিয়াখালির রিফাইতপুর গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী রবিউল হাসান রনির সাথে ২০১৪ সালে জানুয়রী মাসে লাবনী আক্তারের বিবাহ হয়। কিছুদিন পর লাবনী আক্তার মোটা অংকের টাকা নিয়ে রনির সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায়। তালাকপ্রাপ্তা হওয়া সত্বেও লাবনী আক্তার অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন বেনামে ফেসবুক আইডি খুলে সমাজের বিত্তবান ছেলেদের সাথে যোগাযোগ করত। এরই ধারাবাহিকতায় লাবনী আক্তার অশ্লীল ও অসামাজিক ছবি মাসুদের মোবাইল মেসেঞ্জারে প্রেরণ করে মাসুদের পরিবারে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি করে এবং অশ্লীল ছবি মাসুদের স্ত্রীর মোবাইলে প্রেরণ করার হুমকি দিয়ে মাসুদের নিকট থেকে বিভিন্ন সময় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
এদিকে লাবনী আক্তার এনআইডির ব্যক্তিগত তথ্য কলামে স্বামী-স্ত্রীর নামের জায়গায় স্বামী হিসাবে মাসুদার রহমানের নাম লিপিবদ্ধ করেছে। লাবনী আক্তার কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নার্স পদে কর্মরত আছে। রৌমারির ওয়ালটন শোরুম থেকে কিস্তিতে ফ্রিজ কেনার সময় লাবনী আক্তার স্বামীর জায়গায় মাসুদার রহমান নাম ব্যবহার করেছে। লাবনী আক্তারের অনৈতিক ও বেআইনী কর্মকান্ডের প্রতিকার চেয়ে মাসুদার রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫(১)(ক),২৬(১),২৯(১),৩৩(১) ধারায় রংপুর বিজ্ঞ সাইবার B ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা করেছে।
এদিকে গত শনিবার এ বিষয়ে মতামত জানতে লাবনী আক্তারের মুঠোফোনে ফোন দেওয়া হলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।