নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচটি রুটে ৭০টি লঞ্চ চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশন। বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে লঞ্চ চলাচলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে শ্রমিকরা অবস্থানসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার বলেন, গত ২০ মার্চ কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চডুবির পর থেকে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে লঞ্চ শ্রমিক ও কর্মচারীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, নদীপথে দুর্ঘটনা ও মানুষের প্রাণহানি হোক সেটা আমরাও চাই না। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে যুক্ত শ্রমিক ও কর্মচারীদের বিকল্প কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা না করে হঠাৎ করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় শ্রমিক ও কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পবিত্র রমজান মাস চলছে ও ঈদুল ফিতর আসন্ন। অথচ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে যুক্ত প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জীবন-জীবিকা চরম অনিশ্চয়তায়। এসব পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের এ নেতা আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর চলাচল বন্ধের আগে কিছু সময়সীমা বেঁধে দেওয়া দরকার ছিল, যাতে মালিকরা তাদের লঞ্চগুলো পরিবর্তন করে নতুন লঞ্চ চালু করতে পারেন। আমাদের দাবি লঞ্চমালিকদের একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়ে লঞ্চগুলোর আকার বড় করে চলাচলের সুব্যবস্থা করা হোক। এতে শ্রমিক-কর্মচারীরাও কাজে ফিরতে পারবেন এবং যাত্রীরাও স্বল্প খরচে চলাচল করতে পারবেন।’
এসময় ১৮ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে শ্রমিক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচিসহ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন সবুজ শিকদার।
বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি মঈন মাহামুদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্নু, জুয়েল প্রধান, কবির হোসেন, আক্তার হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন ও জেলা শ্রমিক লীগের নেতা শহীদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।