মোঃ আরিফুল ইসলাম :
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত এক সময়ের খরস্রোত নীল কুমার নদী এখন মরা খাল। নদীর বুকে চলছে চাষাবাদ। বেদখল হয়ে যাচ্ছে শুকিয়ে যাওয়া নদীর জমি। কালের বিবর্তনে নীল কুমার নদীর তলদেশ পলি দ্বারা ভরাট হয়ে যাওয়ায় দু’পাড় কেটে করা হচ্ছে ফসলের চাষ। নদীটির ভারতীয় সীমান্তবর্তী দক্ষিণ অংশের গ্রাম নাখারজানের সাথে উত্তরের গ্রাম উত্তর কুটির চন্দ্র খানার মধ্যে সেতুবন্ধন করেছে একটি নড়বড়ে কাঠের সাঁকো।
যুগের পর যুগ এভাবেই চলছে দুই পাড়ের মানুষের পাড়াপাড় যেটি দেখার কেউ নাই। দক্ষিণ পাড়ের গ্রাম নাখারজানে প্রায় দু’শ অধিক লোকের বসবাস এবং উত্তরের গ্রাম কুটির চন্দ্র খানায় বসবাস প্রায় চারশো অধিক লোকের। দুই পাড়ের গ্রামের মানুষের বাজার যাতায়াত, কৃষি পণ্য আনা-নেওয়া, চিকিৎসার কাজে শহরে আসা খুবই সমস্যা। তাছাড়া নড়বড়ে কাঠের সাঁকোটির বেহাল দশা যেকোনো সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
প্রতিবছর গ্রামবাসী নিজেদের দেয়া কাঠ এবং বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি মেরামত করে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য। ১০ জানুয়ারি সরেজমিনে গেলে ৪/৫ জন লোক ভ্যানে করে কাঠের গুড়ি নাখারজান থেকে উত্তর কুটির চন্দ্র খানায় আনার পথে সাঁকোর মাঝখানে এলে কাঠ বোঝাই ভ্যানের ওজনে সাঁকোর তক্তা ভেঙে কঠের গুড়ি পানিতে পড়ে যায়। অল্পের জন্য ভ্যান ও ভ্যানচালকসহ অন্যরা পানিতে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি নদীর এই অংশে একটা ছোট কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণের। এলাকাবাসীর দাবি অনুযায়ী নদীর এই অংশে একটা ছোট কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণ করা গেলে উভয় পাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নত হবে বলে আশা করা যায়।
//এমটিকে