বাংলার চোখ নিউজ :
বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে প্রতি বছর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিপুল পরিমাণ পর্যটকের সমাগম হলেও এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে সমুদ্রতীরে পর্যটকদের আগমনে বিধি-নিষেধ থাকলেও এবার রমজানের কারণে পর্যটক সমাগম হয়নি।
পহেলা রমজান থেকে এক প্রকার জনশূন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলো। পর্যটক না থাকায় মেরামত ও সাজ-সজ্জার কাজ শুরু করেছে অধিকাংশ হোটেল-মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়াও ছাঁটাই করা হয়েছে কর্মচারীও।
হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছর বাংলা নববর্ষ উদযাপনে কম হলেও লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। কিন্তু রমজানের কারণে এই বছর ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।
জানা গেছে, রমজানের শুরু থেকেই কক্সবাজার পর্যটকশূন্য। পর্যটন জোন কলাতলীর সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও কটেজগুলোর বুকিংও শূন্য। একই সঙ্গে সব ধরনের খাবার হোটেলে ক্রেতা না থাকায় বেশিরভাগ হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার আমিন ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের চেয়ারম্যান মুন্না বলেন, প্রতি বছর বাংলা নতুন বছর উদযাপন করার জন্য লাখো পর্যটকের আগমন হয়। কিন্তু এ বছর রমজান হওয়ায় পর্যটক নেই। তবে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে হোটেলগুলোকে নানা উপকরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। সঙ্গে বিনোদনের জন্য বাউল গান থেকে শুরু করে সীমিত পরিসরে কিছু আয়োজন করা হয়েছে।
লাইট হাউস কটেজ জোনের কোহিনুর রিসোর্টের পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, রোজার শুরু থেকে আজ বাংলা নববর্ষ পর্যন্ত সবগুলো কক্ষ বুকিং শূন্য রয়েছে।
রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি নাইমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, রমজানে কক্সবাজারে অন্যান্য স্থানে ইফতারি ও সেহরির বেচাকেনা হলেও পর্যটন এলাকায় তা একেবারেই হচ্ছে না। তাই অধিকাংশ হোটেল ও রেস্টুরেন্ট এখন বন্ধ রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন বলেন, কক্সবাজারে পহেলা বৈশাখকে বরণ করতে দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছে। সকাল থেকে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এসব অনুষ্ঠানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।