প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের দেশে কোনো মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছে। এখন আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রতিটি বিভাগেই মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। এরই মধ্যে চারটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়া হয়েছে।’
বুধবার সকালে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে নার্সিং কলেজের দ্বিতীয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেবা দেওয়াটাই আমাদের কাজ আর সেটাই আমরা করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় জনগণের সেবা করে এবং আমরা আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপ গ্রহণ করি। ২০০৯ থেকে ২০২৩, অন্তত দাবি করতে পারি যে, বাংলাদেশটাকে আমরা বদলে দিতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশ হলো ডিজিটাল বাংলাদেশে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে পেরেছি। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমিয়েছি, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ আমরা বিনা পয়সায় মানুষকে দিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা এটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি কমিউনিটি ক্লিনিকে আমরা যে বিনা পয়সায় ওষুধ দেই সেখানে ইনসুলিনটাও বিনা পয়সায় দিয়ে দেবো। যাতে এই রোগটা থেকে মানুষ মুক্তি পায় সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, মানুষের সেবা করার দিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমরা ২৩টি নার্স ইনস্টিটিউটকে কলেজে উন্নীত করেছি। আরও ১৬টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা প্রতি জেলায় মেডিকেল কলেজ করে দিচ্ছি। পাশাপাশি নার্সিং ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বেসরকারি খাতকেও উৎসাহিত করছি। তারাও মেডিকেল কলেজ করছে। আমরা নার্সিং ট্রেনিংকে গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নার্সিংয়ের ব্যাপক চাহিদা। আমাদের দেশে জনসংখ্যা বেশি। আমাদের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক ও মাতৃসেবা কেন্দ্র রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে রোগীদের সেবা দিতে আমাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক মানসম্পন্ন নার্স দরকার।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রায় ৪০ হাজারের মতো নার্স নিয়োগ দিয়েছি। বয়স না থাকলেও অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আমরা ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। যেন তারা সেবাটা দিতে পারেন। তাদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাও করেছি। এটা শুধু দেশের ভেতরে না, দেশের বাইরেও ব্যবস্থা করেছি। যেন তারা ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষাটা ভালোভাবে নিতে পারে।
গাজীপুরের তেতুইবাড়ির কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের সিইও মো. তৌফিক বিন ইসমাইল। এতে স্নাতক সমাপনী বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া কেপিজে হেলথকেয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ইমেরিটাস দাতো ডা. লোকমান সাইম।
বাংলার চোখ নিউজ