বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বেড ৫০০ থেকে ১৫০০ এবং বিল্ডিংটি ৫ তলা থেকে ১০ তলায় উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বুধবার বিকালে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে বগুড়া অঞ্চলের চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে আসন সংখ্যার বিপরীতে ভর্তিকৃত রোগী ৩ গুণ বেশি। এই হাসপাতালে বেডের সংখ্যা এখন ৫০০টি। অথচ বর্তমানে এই হাসপাতালে রোগী আছে প্রায় ১ হাজা ৫ শ’র বেশি। এর সাথে আরো ১৫০০ এটেন্ডেন্টস এসেছে হাসপাতালে। এতেই প্রমান হয় এই অঞ্চলের এই সরকারি হাসপাতালটি মানুষের আস্থার প্রতীক এবং মানুষকে ভাল সেবা দিচ্ছে। জাহিদ মালেক বলেন, এজন্য এই হাসপাতালটি ৫০০ বেড থেকে ১৫০০ বেডে উন্নীত করা হবে এবং একই সাথে এই হাসপাতালকে ১০ তলায় উন্নীত করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই করোনা মহামারি মোকাবেলা সম্ভব হয়েছে। তিনি করোনাকালীন সময়ে দেশের মানুষের জন্য ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। যে কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ এখন রোড মডেল।
অনুষ্ঠানে করোনা মোকাবেলায় অবদান রাখায় বগুড়াতে ৪৫৩ জনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
হোটেল মমইন এর কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়া সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু। এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান, বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আলম, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, এসেনসিয়াল ড্রাগসের মহাপরিচালক ডা. এহসানুল করিম জগলুল, চাপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুর রশিদ নান্নু, সিনিয়র সাংবাদিক এইচ এম আখতারুজ্জামান প্রমুখ।
সম্মাননা পাওয়া সবাই করোনাকালে বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবী। পাশাপাশি অসামান্য অবদান রাখায় বগুড়া ও করোনা পরিস্থিতিসহ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বগুড়া নামের দুইটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ সম্মাননা পেয়েছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্মাননা পেয়েছে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, বগুড়া পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল ও রোচাস রেস্টুরেন্ট।
বাংলার চোখ নিউজ