বাংলার চোখ নিউজ :
পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচলের প্রাথমিক অনুমতি দিয়েছে সরকার। ১৯ মে (বুধবার) বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে পার্টির চেয়ারমক্যান কে.এম আবু হানিফ হৃদয় সেতু সচিব মো. মঞ্জুর হোসেনকে ধন্যবাদ জানালে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে বাইকারদের ইদ যাত্রাকে আনন্দ করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাথমিক সিদ্ধান্তে ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার যে শর্ত বেধে দেয়া হয়েছে তা মেনে যদি বাইকাররা সুন্দর মতো তাদের বাম লেনে আইন-কানুন মেনে চলাচল করে তাহলে আর বন্ধ হওয়ার সুযোগ থাকবে না। আর যদি শংখলা ভঙ করে তা হলে আবারো বন্ধ হতে পারে। ইদের পর সেতু সচিবের সাথে বৈঠক করে দিকনির্দেশনায় শাস্তির বিধান রেখে স্থায়ীভাবে চলাচলের বিষয় নিয়ে সচিব ও রিটকারী আবু হানিফ হৃদয় বৈঠক করবেন। সচিবের সাথে কথা বলে আবু হানিফ হৃদয় বলেন, বাইক চলাচলে আনন্দ হওয়ার কিছু নেই শৃংখলা আর দূর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে না পারলে আবারো পদ্মা সেতুতে বাইক চলাচল বন্ধ হতে পারে। তবে তিনি সাংবিধানিক অধিকার শতভাগ আদায় করতে সরকারের সাথে আইনি লড়াই ও আলোচনা চালিয়ে যাবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়। পরদিন ২৬ জুন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে ওইদিনই এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ২৭ জুন ভোর ৬টা থেকে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর আগে যান চলাচল শুরু হওয়ার প্রথম দিনই পদ্মা সেতুতে ভয়াবহ এক মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনার কারণে বন্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ করে মোটরবাইকদের পক্ষে সাংবিধানিক অধিকার আদায়ে গত বছর ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট করেন বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান আবু হানিফ হৃদয়। যেটি ৩ দফা শুনানির পর ১৫ জানুয়ারি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে ২৫ জানুয়ারি নতুন করে হাইকোর্টের বিচারপতি জে.বি.এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের আদালতে গেলে সরকারকে ৮ সপ্তাহের সময় দিয়ে মুলতবি ঘোষণা করেন। নির্ধারিত সময় পার হলে বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির আইনি নোটিশের জবাব ২৯ মার্চ সেতু মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব জসিমউদ্দিন সেতু সচিবের বরাবর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নির্দেশনা ও বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান আবু হানিফ হৃদয়কে অবগত করার ছায়ালিপি আদালতে দাািখল করলে আরও চার সপ্তাহের জন্য স্ট্র্যান্ডওভার (মুলতবি) ঘোষণা করেন হাইকোট। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার ও আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে ঈদের আগেই হাইকোর্টের বেধে দেওয়ার সময়ের মধ্যেই সরকার পদ্মা সেতু দিয়ে ২০ এপ্রিল থেকে বাইক চলাচলের অনুমতি দেন।