বাংলার চোখ নিউজ :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুঃসময়ের কথা বলে দেশের জনগণকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
কাদের বলেন, দেশে কোনো দুঃসময় নেই, দুঃসময় যাচ্ছে বিএনপির রাজনীতিতে। তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশ ও দিশেহারা পথিক। শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্ব ও সক্ষমতা নিয়ে তারা সন্দিহান। ব্যর্থ নেতৃত্ব থেকে মুক্তি চায়।
জনগণ বিএনপির আমলের দুঃশাসন ভুলে যেতে চায় বলে দাবি করেন কাদের। বলেন, ‘ফলে জনগণ বার বার আওয়ামী লীগকেই বেছে নিয়েছে এবং বরাবরের মতো আগামী নির্বাচনেও জনগণ আমাদেরই বেছে নেবে। সেটি বুঝতে পেরেই বিএনপি এখন দুঃসহ যন্ত্রণায় ভুগছে।’
বিএনপির অন্তরে এখানো পাকিস্তান রয়ে গেছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘সম্প্রতি পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো না বুঝলে, ধারণ না করলে বিএনপি নেতাদের মুক্তি হবে না’- মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, এখনো তারা পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি থেকে বের হতে পারেনি।
কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবি অনুযায়ী মুক্তির নাকি একটাই পথ; জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে গিয়ে একটা ঘটনা ঘটানো। তিনি তো হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সমাধি রচনা করে তার উপর পাকিস্তানি ভাবধারার বীষবৃক্ষের বীজবপন করেছিলেন, অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিলেন। জনগণ তাই শঙ্কায় আছে, না জানি বিএনপি কখন কি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বসে।
বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এটা কি তাদের মনের কথা? কারণ তারা একদিকে বলছে নির্বাচনে বিশ্বাস করে। আরেকদিকে ক্ষমতা দখলের নেশায় দেশ ও গণবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা নির্বাচনের নামে আসলে কী চায়, সেটা তাদেরকে জনগণের সামনে স্পষ্ট করতে হবে। অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের উপায় হিসেবে যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচনে বিশ্বাস আনে তাহলে তা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য শুভ লক্ষণ।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা মীমাংসিত ইস্যু উল্লেখ করে কাদের বলেন, নতুন করে এ নিয়ে কোনো দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার শুধু নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। তাই বিএনপিকে বলব, নির্বাচনে যদি বিশ্বাস করেন, জনগণের উপর যদি আস্থা থাকে তবে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিন। আশা করি, বিএনপির শুভবুদ্ধির উদয় হবে।