1. নিয়মিত পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করুন. প্রতিদিন একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য 3.7 লিটার এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীর জন্য 2.7 লিটার পানি পান করা জরুরী. 2. নিয়মিত গায়ে রোদ লাগান, কারণ সূর্যের আলো ভিটামিন- ডি এর একটি বড় উৎস, বেলা দশটা থেকে তিনটার মধ্যে প্রতিদিন 5 – 30 মিনিট রোদ পোহানো সবচেয়ে উত্তম. 3. প্রতিদিন একটু করে টক খাবার খান ,তাহলে ভিটামিন- সি এর অভাব হবে না. 4. আপনার খাবারের তালিকায় শাক-সবজির ও শস্যদানার পরিমাণ বৃদ্ধি করুন বিশেষ করে ডাটাশাক, পালংশাক ,পাতাকপি ,ফুলকপি মটরশুটি ,ব্রোকলি, বাদাম, কালোজিরা কারন এরা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ. 5. নিয়মিত চা পান করতে পারেন তবে অবশ্যই গ্রিন টি উত্তম. 6. আপনার খাবারের তালিকায় প্রতিদিন প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার যেমনঃ দধি , মাখন বা পনির রাখতে পারেন. 7. আপনার খাবারে স্বাস্থ্যকর তৈল ব্যবহার করুন যেমন- অলিভ অয়েল ,এছাড়াও ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ খুবই উপকারী. 8. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার পরিহার করুন, তবে নিয়মিত মধু খেতে ভুলবেন না. 9. প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম সবার জন্য প্রয়োজন ,প্রতি রাতে 6 – 7 ঘণ্টা অবশ্যই. 10. দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকুন ,অহেতুক চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন. 11. প্রতিদিন ব্যায়াম করুন, নিয়মিত 30 মিনিট হাঁটা উত্তম. 12. ধূমপান ত্যাগ করুন.
উপরোক্ত বারোটি বিষয়ে আমরা সবাই কমবেশি অবগত আছি, কিন্তু আমরা আসলে নিয়মমতো এগুলো মেনে চলি না. আসুন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উপরোক্ত বিষয়গুলো প্রয়োগ করি, ধীরে ধীরে তাহলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং আমরা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ফাংগাসের আক্রমণ থেকে কিছুটা হলেও প্রাকৃতিক ভাবে রক্ষা পেতে পারবো. উপরোক্ত বিষয়গুলো প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগে যেমনঃ ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, ডিসলিপিডেমিয়া ,কিডনি ডিজিজ বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম এ আক্রান্ত ব্যক্তিরা অবশ্যই আপনাদের চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন.
– রোটারিয়ান ডা. আল ওয়াজেদুর রহমান, বিশিষ্ট চিকিৎসক ,সংগঠক ও লেখক.
এই বিভাগের আরও খবর...